Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অর্জন সমূহ

 ২০২1-২2 অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ (উপজেলা)

  মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণে দেশব্যাপি 1.00 হেক্টর প্রদর্শনী মৎস্য খামার স্থাপন;

  বিল নার্সারি স্থাপন 1.00 মেট্রিক টন এবং  পোনা মাছ অবমুক্তকরণ 0.400 মে:টন।

  দক্ষতা উন্নয়নে 400 জন মৎস্যচাষি/সুফলভোগীকে প্রশিক্ষণ প্রদান;

  • মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষন আইন বাস্তবায়নে 200 টি অভিযান/মোবাইল কোর্ট বাস্তাবায়ন।
  • দক্ষতা উন্নয়নে 250 জন মৎস্যচাষি/সুফলভোগীকে পরামর্শ  প্রদান;

  গুণগত মানসম্পন্ন পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যে পরিচালিত 02টি মৎস্য হ্যাচারির নিবন্ধন ও নবায়ন;

  গুণগত মানসম্পন্ন মৎস্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে 02 টি খাদ্য নমুনা পরীক্ষা;

  মৎস্য আহরণে নিয়োজিত 02 মৎস্য নৌযানের ফিশিং লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন;

  রপ্তানিতব্য মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে02০ টি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষণ

  বছর ব্যাপী 08 টি বিশেষ মৎস্য সেবা প্রদান


মাছ বাঙালি জাতির সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অংশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এখন মৎস্য খাতের অবদান। বিগত ১২ বছরে মৎস্য খাতে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট মাছের উৎপাদন ছিল ২৭ দশমিক ১ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ২১ লাখ মেট্রিক টন।
মহান স্বাধীনতা দিবস মুজিববর্ষে ৫০তম বছরে পদার্পণ করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকালে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলে স্বীকৃত ও সমাদৃত। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত মোট মাছের পরিমাণ ৪৩.৮৪ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ সালের মোট উৎপাদনের চেয়ে ৬২.৩১ শতাংশের বেশি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য মতে, (২০২০) মিঠাপানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৩য় এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১ম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ। দেশ এখন মাছে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই না, উদ্বৃত্তও বটে। এ অর্জন জাতির জন্য গৌরব এবং অহংকারের।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করে মৎস্য চাষকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেয়ার শুভ সূচনা করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন ‘মাছ হবে এ দেশের দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ।’ জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে মৎস্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে মাছ ও পুষ্টি পাচ্ছে। গত এক দশকে মৎস্য খাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৬.২৮ শতাংশ। মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৪১ সালে দেশে মাছের উৎপাদন দাঁড়াবে ৯০ লাখ মেট্রিক টন।


আমাদের জলাশয়ে প্রায় ৮ শত প্রজাতির মাছ ও চিংড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ এবং ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। আইইউসিএন (২০১৫) এর তথ্য মতে, আমাদের দেশে ২৬০ প্রজাতির মিঠাপানির মাছের মধ্যে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। আমাদের ঐতিহ্যের অংশ মিঠাপানির এসব সুস্বাদু মাছকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার্থে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা পরিচালনা করে এ যাবত ২৪টি বিপন্ন প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টটিউট বর্তমানে কাকিলা, কাজলী, বাতাসী, রানী, ঢেলা ইত্যাদি আরো ১০ প্রজাতির দেশীয় মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছে। এসব মাছও অদূর ভবিষ্যতে চাষের আওতায় আনা সম্ভব হবে। অপরদিকে দেশে প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘দেশীয় মাছের লাইভ জিন ব্যাংক।’ লাইভ জিন ব্যাংকে ইতোমধ্যে ৮৫ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। দেশীয় মাছ সুরক্ষা এবং গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কেআইবি কৃষি পদক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা পদকসহ একুশে পদক ২০২০ অর্জন করেছে। নদ-নদী ও হাওড় বিলে দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্তি ও অভয়াশ্রম (৪২৬টি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেও বিপন্ন প্রজাতির মাছ সুরক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে।


আমাদের মাছের মোট উৎপাদনের শতকরা ১৬ ভাগ (৬.৫৯ লাখ মেট্রিক টন) সামুদ্রিক মাছের অবদান। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিমি.এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সমুদ্রে স্থায়ীত্বশীল মৎস্য আহরণের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। অপরদিকে সামুদ্রিক মাছের অবাধ প্রজনন, সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সাল থেকে সমুদ্রে বছরে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১২-১৫%। সমুদ্রের মৎস্যসম্পদের মজুদ নিরূপণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সামুদ্রিক মাছের জীববৈচিত্র্যতা সুরক্ষিত হবে।


ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে; বর্তমানে ১২৫টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে ইলিশ ব্যবস্থাপনা কৌশল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তর, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী কর্তৃক সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করায় সাম্প্রতিককালে দেশে ইলিশের বিস্তৃতি ও উৎপাদন বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৮-২০০৯ সালে দেশে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ সালে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ গত ১২ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮৩ শতাংশ। গত ২০১৬ সালে ইলিশ বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ইলিশের স্বত্ব এখন শুধুই বাংলাদেশের। এটা জাতির জন্য গৌরবের।


প্রচলিত মৎস্য প্রজাতির পাশাপাশি বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ যেমন কুচিয়া, শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, সী-উইড, ওয়েস্টার ইত্যাদি সংরক্ষণ ও চাষাবাদ কৌশল উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। আমাদের খাদ্য তালিকায় এসব অপ্রচলিত প্রজাতি না থাকলেও বিদেশে এদের প্রচুর চাহিদা ও বাজারমূল্য রয়েছে। এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। গবেষণায় কক্সবাজার উপক‚লে এ পর্যন্ত ১৩৮ প্রজাতির সীউইডের সন্ধান পাওয়া গেছে; এর মধ্যে ১৮ প্রজাতির সীউইড বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন। অতঃপর, বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন ৩ প্রজাতির (Sargassum oligocystum, Caularpa racemosa ও Hypnea spp.) সীউইডের চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। উদ্ভাবিত সীউইড চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য ইতোমধ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীউইড অদূর ভবিষ্যতে একটি অন্যতম রপ্তানিপণ্য হিসেবে সুনীল অর্থনীতিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। বর্তমানে ভেটকি, চিত্রা ও দাতিনা মাছ এবং হরিণা ও চাকা চিংড়ির প্রজনন ও চাষাবাদের উপর গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। বাগদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে এসপিএফ পোনা উৎপাদন জোরদার করা হয়েছে। চাষিদেরকে উত্তম চাষ ব্যবস্থাপনার আওতায় চিংড়ির ক্লাস্টার ফার্মিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখতে ৩৯ লাখ হেক্টরের অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয় যেমন নদ-নদী, প্লাবনভ‚মি, হাওড়-বাওড় ও বিলকে বিজ্ঞানভিত্তিক চাষ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় হাওড়ের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে সম্প্রতি ১টি উন্নয়ন প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।


প্রকৃত মৎস্যজীবী/জেলেদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তর্ৃৃক ইতোমধ্যে ১৬ লাখ ২০ হাজার মৎস্যজীবী/জেলেদের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে। জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে ভিজিএফ সহায়তার আওতায় দেশের মোট ৩৬টি জেলার ১৫২ উপজেলার ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২টি পরিবারকে ২০ কেজি হারে মোট ১০৫৬৬.৮৪ মেট্রিক টন চাল প্রদান করা হয়েছে। তা ছাড়া করোনাকালে চাষিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।


মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে ৫০টি দেশে চিংড়ি ও মৎস্য পণ্য রপ্তানি করছে। বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা থাকা সত্তে¡ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রায় ৭১ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে দেশে ৩৯৮৫ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। মানসম্মত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানির জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আন্তর্জাতিক মানের ৩টি মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।


দৈনন্দিন জীবনে মানুষের ব্যস্ততা বাড়ায় এবং নারী কর্মজীবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরাসরি খাওয়া উপযোগী কিংবা স্বল্প পরিশ্রমে খাবার উপযোগী মানসম্মত মূল্য সংযোজিত মৎস্য পণ্য উৎপাদন এখন সময়ের দাবী। অপরদিকে, চাষিরা সাম্প্রতিককালে প্রায়ই বলেন, তারা মাছের ভাল মূল্য পাচ্ছেন না। এ অবস্থা হতে উত্তরণের লক্ষ্যে ও আমাদের মাছ থেকে মূল্য সংযোজিত পণ্য (Value added product) তৈরি করতে হবে। এতে চাষিরা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এ লক্ষ্যে কাজ করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম এমপি মৎস্য খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির নির্দেশনা প্রদান করছেন।


মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের যেমন আত্মতৃপ্তির সুযোগ আছে, ঠিক তেমনি আমাদের সামনে রয়েছে বড় কয়েকটি চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন ও মাছের আবাসস্থলের অবক্ষয়। তা ছাড়া দেশে মাছের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের আরেকটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চাষাবাদে মানসম্পন্ন উন্নত জাতের মাছের পোনা এবং স্বল্প মূল্যের মৎস্য খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ জন্য দেশের ৯ শতাধিক হ্যাচারিতে ভালো মানের পোনা উৎপাদনের জন্য উন্নত জাতের ব্রুড মাছের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বাঁচাতে হবে আমাদের হালদা নদীকে-যেখানে রুইজাতীয় মাছ প্রাকৃতিকভাবে ডিম ছাড়ে। আনন্দের বিষয় যে, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জাতীয় উদযাপন কমিটি কর্তৃক হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে হালদা নদী জাতীয়ভাবে বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা পাবে; সুরক্ষিত হবে হালদা নদীর পরিবেশ ও নিষিক্ত ডিম।